ঢাকা, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪: ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অপেশাদার আচরণের কারণে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী আজ জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক মিট দ্য প্রেস সভায় তিনি বলেন, “ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকা মহানগর পুলিশ পেশাদারিত্বের বাইরে গিয়ে কাজ করেছে। এ ঘটনায় আমি ঢাকাসহ দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।”
ডিএমপি কমিশনার জানান, ওই সময় পুলিশের অপেশাদার আচরণের কারণে কিছু পুলিশ সদস্যকে বদলি করা হয়েছে এবং দোষী সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর পুলিশ অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিল, তবে বর্তমানে সেটি সক্রিয় করার কাজ চলছে। যদি পুলিশ সক্রিয় না থাকত, তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতো।”
ডিএমপি কমিশনার জানান, পুলিশ বাহিনীকে আরও সক্রিয় করতে ডিএমপির প্রতিটি থানায় স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, গত ১৫-১৬ বছর ধরে পুলিশে নিয়োগের সময় সদস্যদের পরিবারের রাজনৈতিক পটভূমি পরীক্ষা করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বাহিনীতে ৮০ থেকে ৯০ হাজার সদস্য এইভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত। তবে, যেহেতু সবাইকে চাকরিচ্যুত করা সম্ভব নয়, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনের আওতায় আনা হবে।
থানায় মামলা বাণিজ্য বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর প্রতিটি মামলা কোর্টের নির্দেশে হয়েছে, তবে আমরা কিছু মামলা বাণিজ্যের তথ্য পেয়েছি। যাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা ছাড়াই আসামি করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার জানান, এখন পর্যন্ত ১২ শতাধিক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে এবং আরও ৬৮৫টি অস্ত্র উদ্ধারের জন্য অভিযান চলছে।