আসলেই কি সাফল্যের শর্টকাট বলে কিছু আছে?
দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমায় আবেগঘন গল্পের সাথে থ্রিলের সংমিশ্রণ নতুন কিছু নয়, কিন্তু ‘লাকি ভাস্কর’ যেন সেই ঘরানাকে অন্য এক উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। ভেঙ্কি আটলুরির পরিচালনায় নির্মিত এই সিনেমা শুধুমাত্র একটি আর্থিক কেলেঙ্কারির গল্প নয় বরং মধ্যবিত্তের স্বপ্ন, সংকট ও লোভের মধ্যে আটকে থাকা এক মানুষের হৃদয়বিদারক যাত্রা।
স্বপ্নের পেছনে ছুটে ধ্বংসের পথে
লাকি ভাস্কর সিনেমার প্রধান চরিত্র ভাস্কর (দুলকার সালমান) একজন সাধারণ ব্যাংক ক্যাশিয়ার, যিনি তার অসুস্থ বাবা এবং স্ত্রী সুমতির জন্য একটু ভালো জীবন চায়। কিন্তু তার জীবনে বড় পরিবর্তন আসে অ্যান্টনি নামের এক রহস্যময় ব্যক্তির প্রস্তাবে।
অ্যান্টনি ভাস্করকে এমন এক বিনিয়োগের প্রলোভন দেখায়, যা তার আর্থিক সমস্যা মেটানোর সহজ সমাধান বলে মনে হয়। তবে সমস্যার সমাধান যে এতো সহজ নয়, তা ভাস্কর বুঝতে পারেন না। লোভ তাকে এমন এক অন্ধকার জগতে টেনে নিয়ে যায়, যেখানে সত্য আর মিথ্যার পার্থক্য ধূসর হয়ে যায়। সিনেমার প্রতিটি মোড়ে দর্শককে ভাবতে বাধ্য করে—আসলেই কি সাফল্যের শর্টকাট বলে কিছু আছে?
দুলকার সালমানের অনন্যতা
দুলকার সালমানের অনবদ্য অভিনয়ই সিনেমার প্রাণ।
ভাস্করের চরিত্রের প্রতিটি আবেগের স্তর, তার দোদুল্যমান মনস্তত্ত্ব এবং সংকটের মুহূর্তগুলোতে তার বেদনাবোধ—সবকিছু এত নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছেন যে দর্শক অবচেতনেই তার যন্ত্রণার অংশীদার হয়ে যায়। স্ত্রী সুমতির চরিত্রে মীনাক্ষী চৌধুরী নিজের সরলতা ও আবেগ দিয়ে গল্পকে আরও উজ্জ্বল করেছেন। শচীন খেড়েকার ও রামকির মতো অভিজ্ঞ অভিনেতাদের পার্শ্বচরিত্রগুলোতেও তাদের দক্ষতার ছাপ স্পষ্ট।
চিত্রনাট্য ও পরিচালনার গভীরতা
ভেঙ্কি আটলুরি অত্যন্ত যত্নসহকারে চরিত্রগুলোকে নির্মাণ করেছেন।

দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমায় আবেগঘন গল্পের সাথে থ্রিলের সংমিশ্রণ নতুন কিছু নয়, কিন্তু ‘লাকি ভাস্কর’ যেন সেই ঘরানাকে অন্য এক উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। ভেঙ্কি আটলুরির পরিচালনায় নির্মিত এই সিনেমা শুধুমাত্র একটি আর্থিক কেলেঙ্কারির গল্প নয় বরং মধ্যবিত্তের স্বপ্ন, সংকট ও লোভের মধ্যে আটকে থাকা এক মানুষের হৃদয়বিদারক যাত্রা।
স্বপ্নের পেছনে ছুটে ধ্বংসের পথে
লাকি ভাস্কর সিনেমার প্রধান চরিত্র ভাস্কর (দুলকার সালমান) একজন সাধারণ ব্যাংক ক্যাশিয়ার, যিনি তার অসুস্থ বাবা এবং স্ত্রী সুমতির জন্য একটু ভালো জীবন চায়। কিন্তু তার জীবনে বড় পরিবর্তন আসে অ্যান্টনি নামের এক রহস্যময় ব্যক্তির প্রস্তাবে।
https://e9978c1ba5766af43d6a203673bd0223.safeframe.googlesyndication.com/safeframe/1-0-40/html/container.htmlঅ্যান্টনি ভাস্করকে এমন এক বিনিয়োগের প্রলোভন দেখায়, যা তার আর্থিক সমস্যা মেটানোর সহজ সমাধান বলে মনে হয়। তবে সমস্যার সমাধান যে এতো সহজ নয়, তা ভাস্কর বুঝতে পারেন না। লোভ তাকে এমন এক অন্ধকার জগতে টেনে নিয়ে যায়, যেখানে সত্য আর মিথ্যার পার্থক্য ধূসর হয়ে যায়। সিনেমার প্রতিটি মোড়ে দর্শককে ভাবতে বাধ্য করে—আসলেই কি সাফল্যের শর্টকাট বলে কিছু আছে?
দুলকার সালমানের অনন্যতা
দুলকার সালমানের অনবদ্য অভিনয়ই সিনেমার প্রাণ।ভাস্করের চরিত্রের প্রতিটি আবেগের স্তর, তার দোদুল্যমান মনস্তত্ত্ব এবং সংকটের মুহূর্তগুলোতে তার বেদনাবোধ—সবকিছু এত নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছেন যে দর্শক অবচেতনেই তার যন্ত্রণার অংশীদার হয়ে যায়। স্ত্রী সুমতির চরিত্রে মীনাক্ষী চৌধুরী নিজের সরলতা ও আবেগ দিয়ে গল্পকে আরও উজ্জ্বল করেছেন। শচীন খেড়েকার ও রামকির মতো অভিজ্ঞ অভিনেতাদের পার্শ্বচরিত্রগুলোতেও তাদের দক্ষতার ছাপ স্পষ্ট।
চিত্রনাট্য ও পরিচালনার গভীরতা
ভেঙ্কি আটলুরি অত্যন্ত যত্নসহকারে চরিত্রগুলোকে নির্মাণ করেছেন।
https://e9978c1ba5766af43d6a203673bd0223.safeframe.googlesyndication.com/safeframe/1-0-40/html/container.htmlপ্রথমার্ধে কিছুটা ধীর গতি থাকলেও এটি ইচ্ছাকৃত, যা চরিত্রগুলোর বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে গল্পে নাটকীয়তা এমনভাবে ঘনীভূত হয় যে দর্শক প্রতিটি মুহূর্তে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে অপেক্ষা করে পরবর্তী দৃশ্যের জন্য।
আবহের মুগ্ধতা
নিমিশ রাভির সিনেমাটোগ্রাফি দর্শকদের চমৎকৃত করে। প্রত্যেকটি দৃশ্য অত্যন্ত যত্নের সাথে চিত্রিত হয়েছে, যা কাহিনীর আবেগকে আরও গভীর করে তোলে। জি ভি প্রকাশ কুমারের সঙ্গীত হৃদয়ছোঁয়া এবং প্রতিটি মুহূর্তে আবেগকে প্রাঞ্জল করে তোলে।
দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমায় আবেগঘন গল্পের সাথে থ্রিলের সংমিশ্রণ নতুন কিছু নয়, কিন্তু ‘লাকি ভাস্কর’ যেন সেই ঘরানাকে অন্য এক উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। ভেঙ্কি আটলুরির পরিচালনায় নির্মিত এই সিনেমা শুধুমাত্র একটি আর্থিক কেলেঙ্কারির গল্প নয় বরং মধ্যবিত্তের স্বপ্ন, সংকট ও লোভের মধ্যে আটকে থাকা এক মানুষের হৃদয়বিদারক যাত্রা।
স্বপ্নের পেছনে ছুটে ধ্বংসের পথে
লাকি ভাস্কর সিনেমার প্রধান চরিত্র ভাস্কর (দুলকার সালমান) একজন সাধারণ ব্যাংক ক্যাশিয়ার, যিনি তার অসুস্থ বাবা এবং স্ত্রী সুমতির জন্য একটু ভালো জীবন চায়। কিন্তু তার জীবনে বড় পরিবর্তন আসে অ্যান্টনি নামের এক রহস্যময় ব্যক্তির প্রস্তাবে।
https://e9978c1ba5766af43d6a203673bd0223.safeframe.googlesyndication.com/safeframe/1-0-40/html/container.htmlঅ্যান্টনি ভাস্করকে এমন এক বিনিয়োগের প্রলোভন দেখায়, যা তার আর্থিক সমস্যা মেটানোর সহজ সমাধান বলে মনে হয়। তবে সমস্যার সমাধান যে এতো সহজ নয়, তা ভাস্কর বুঝতে পারেন না। লোভ তাকে এমন এক অন্ধকার জগতে টেনে নিয়ে যায়, যেখানে সত্য আর মিথ্যার পার্থক্য ধূসর হয়ে যায়। সিনেমার প্রতিটি মোড়ে দর্শককে ভাবতে বাধ্য করে—আসলেই কি সাফল্যের শর্টকাট বলে কিছু আছে?
দুলকার সালমানের অনন্যতা
দুলকার সালমানের অনবদ্য অভিনয়ই সিনেমার প্রাণ।ভাস্করের চরিত্রের প্রতিটি আবেগের স্তর, তার দোদুল্যমান মনস্তত্ত্ব এবং সংকটের মুহূর্তগুলোতে তার বেদনাবোধ—সবকিছু এত নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছেন যে দর্শক অবচেতনেই তার যন্ত্রণার অংশীদার হয়ে যায়। স্ত্রী সুমতির চরিত্রে মীনাক্ষী চৌধুরী নিজের সরলতা ও আবেগ দিয়ে গল্পকে আরও উজ্জ্বল করেছেন। শচীন খেড়েকার ও রামকির মতো অভিজ্ঞ অভিনেতাদের পার্শ্বচরিত্রগুলোতেও তাদের দক্ষতার ছাপ স্পষ্ট।
চিত্রনাট্য ও পরিচালনার গভীরতা
ভেঙ্কি আটলুরি অত্যন্ত যত্নসহকারে চরিত্রগুলোকে নির্মাণ করেছেন।
https://e9978c1ba5766af43d6a203673bd0223.safeframe.googlesyndication.com/safeframe/1-0-40/html/container.htmlপ্রথমার্ধে কিছুটা ধীর গতি থাকলেও এটি ইচ্ছাকৃত, যা চরিত্রগুলোর বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে গল্পে নাটকীয়তা এমনভাবে ঘনীভূত হয় যে দর্শক প্রতিটি মুহূর্তে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে অপেক্ষা করে পরবর্তী দৃশ্যের জন্য।
আবহের মুগ্ধতা
নিমিশ রাভির সিনেমাটোগ্রাফি দর্শকদের চমৎকৃত করে। প্রত্যেকটি দৃশ্য অত্যন্ত যত্নের সাথে চিত্রিত হয়েছে, যা কাহিনীর আবেগকে আরও গভীর করে তোলে। জি ভি প্রকাশ কুমারের সঙ্গীত হৃদয়ছোঁয়া এবং প্রতিটি মুহূর্তে আবেগকে প্রাঞ্জল করে তোলে।
শেষ কথা
লাকি ভাস্কর কেবল একটি সিনেমা নয়, এটি সততার মূল্য, লোভের পরিণতি এবং জীবনের টানাপোড়েনের এক নির্মম প্রতিচ্ছবি। দুলকার সালমানের শক্তিশালী অভিনয়, দক্ষ পরিচালনা এবং চমৎকার চিত্রনাট্য মিলে এটি হয়ে উঠেছে এক অনবদ্য চলচ্চিত্র। যারা জীবনের জটিলতা ও মানবিক আবেগের গভীরতা অনুভব করতে চান, তাদের জন্য লাকি ভাস্কর এক অনন্য উপহার।