বাংলাদেশের বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা ও জামায়াতে ইসলামী নেতা জোনায়েদ সাকি সম্প্রতি একটি ভাষণে বলেছেন, দেশের প্রতিটি নাগরিকের ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে এবং সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। তার মতে, একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতা অপরিহার্য।
সম্প্রীতির আহ্বান:
জোনায়েদ সাকি তার বক্তব্যে আরো বলেন, “বাংলাদেশ একটি বহুত্ববাদী দেশ, যেখানে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করেন। এই বৈচিত্র্যকে সম্মান জানানো এবং ধর্মীয় সহিষ্ণুতা বজায় রাখা আমাদের কর্তব্য।” তিনি সকল রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ এবং সুশীল সমাজকে এই বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
ধর্মীয় স্বাধীনতার গুরুত্ব:
তিনি আরও বলেন, “ধর্মীয় স্বাধীনতা মানুষের মৌলিক অধিকার। আমাদের সমাজে একে অপরের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা থাকা জরুরি, কারণ এটা আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে আরো সমৃদ্ধ করে। কোনো ধর্মের অনুসারীদের প্রতি বৈষম্য বা হামলা কখনই গ্রহণযোগ্য নয়।”
সরকারের ভূমিকা:
জোনায়েদ সাকি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ধর্মীয় সহিষ্ণুতার পরিবেশ সৃষ্টি করতে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। তার মতে, এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা উচিত যেখানে প্রতিটি ধর্মীয় সম্প্রদায় নিজেদের বিশ্বাস অনুযায়ী শান্তিপূর্ণভাবে জীবনযাপন করতে পারে।
বৈষম্য ও সহিংসতার বিরুদ্ধে অবস্থান:
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেওয়া উচিত এবং এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন। সামাজিক শান্তি এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য এসব সমস্যা দূর করা অত্যন্ত জরুরি।
জোনায়েদ সাকি তার বক্তব্যে সম্প্রীতির মূল্যকে গুরুত্ব দিয়েছেন এবং ধর্মীয় সাম্য ও মানবিক অধিকার সুরক্ষিত রাখতে সরকারের, রাজনৈতিক দলগুলোর এবং সাধারণ জনগণের সচেতনতার প্রতি জোর দিয়েছেন।