শনিবার, ১৪ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

spot_img
Homeআবহাওয়া১২টি শৈত্যপ্রবাহ মোকাবিলা করবে বাংলাদেশ, থাকছে শিলাবৃষ্টিও

১২টি শৈত্যপ্রবাহ মোকাবিলা করবে বাংলাদেশ, থাকছে শিলাবৃষ্টিও

প্রকাশঃ

বাংলাদেশে আগামী শীতে ১২টি শৈত্যপ্রবাহ আঘাত হানতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে। এই শৈত্যপ্রবাহগুলো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক ঠাণ্ডা এবং শিলাবৃষ্টির সাথে আসতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্ব এবং পশ্চিমাঞ্চলে শীতকালীন তাপমাত্রা আরও কমে যাবে এবং এই অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব তীব্র হতে পারে। শিলাবৃষ্টির আশঙ্কাও রয়েছে, যা কৃষি এবং সাধারণ জনগণের জন্য কিছুটা ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।

শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব:

১. তাপমাত্রা হ্রাস:
প্রত্যাশিত শৈত্যপ্রবাহের সময় দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাপমাত্রা ৫-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে, যা সাধারণ মানুষের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে। বিশেষত, বৃদ্ধ ও শিশুদের জন্য ঠাণ্ডার কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়তে পারে।

২. শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা:
শীতকালীন এই সময়ে শিলাবৃষ্টি হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে, যা কৃষির ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। কৃষকরা তাদের ফসলের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে পারে, বিশেষ করে রবি মৌসুমের শুরুতে শিলাবৃষ্টি ফসলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

  1. সামাজিক ও স্বাস্থ্যঝুঁকি:
    শীতের তীব্রতা বাড়লে শ্বাসতন্ত্রের রোগ ও অন্যান্য ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা যেমন সর্দি, কাশির প্রবণতা বাড়তে পারে। বিশেষ করে বয়স্ক এবং শিশুরা এর প্রভাবের শিকার হতে পারে।

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা:

১. কৃষকদের প্রস্তুতি:
কৃষকদের শিলাবৃষ্টি এবং শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব মোকাবিলায় সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা যাতে তাদের ফসল রক্ষা করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হবে।

২. স্বাস্থ্যসেবা:
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জনগণকে শীতকালীন রোগ থেকে রক্ষা করার জন্য সচেতনতা তৈরি করতে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। বিশেষত শ্বাসতন্ত্রের রোগের আশঙ্কা কমাতে সাধারণ মানুষকে শীতের পোশাক পরিধান করতে এবং সাবধানতার সঙ্গে চলাফেরা করতে বলা হচ্ছে।

৩. পরিবহন ব্যবস্থা:
শৈত্যপ্রবাহ এবং শিলাবৃষ্টির কারণে সড়ক যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটতে পারে, তাই কর্তৃপক্ষ সড়ক ও অন্যান্য যাতায়াত ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

এই বিভাগের আরও সংবাদ
- Advertisment -spot_img

সর্বাধিক পঠিত