নতুন বাজার, গল্লামারি বাজার, মিস্ত্রিপাড়া বাজার, দৌলতপুর বাজার ও বয়রা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি নতুন আলু ১০০ টাকা, পুরাতন আলু ৭৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১৩০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকা, দেশি রসুন ২৬০ টাকা, চায়না রসুন ২৪০ টাকা, ফুলকপি ৭০-৭৫ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, শালগম ৬৫-৭০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, শীতকালীন শীম ৮০ টাকা, বরবটি শিম ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ টাকা, বেগুন ৭০-৭৫ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, উচ্ছে ১০০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৫০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, লালশাক, পালং শাক, ঘিকাঞ্চন শাক ৪০-৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনেক দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেলও নেই। মুদি দোকানিরা জানান, কোম্পানির চাল-ডাল, সুজি, হলুদ, মসলাসহ অন্যান্য পণ্য না নিলে বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনতে পারছেন না দোকানিরা। আবার তেল কিনতে হচ্ছে বোতলে কোম্পানির লেখা মূল্যে। এমন বেধে দেওয়া শর্তের কারণে তেল রাখছেন না অনেক দোকানিরা। ফলে খুলনায় বোতলজাত তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
বর্তমান বাজার পরিস্থিতি
খুলনার বিভিন্ন বাজার, যেমন কাঁচাবাজার, রূপসা বাজার এবং নিউমার্কেট এলাকায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজ, আলু এবং সবজির দাম ক্রমাগত বাড়ছে।
- পেঁয়াজের দাম: সাধারণত প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৫০-৬০ টাকার মধ্যে থাকলেও বর্তমানে তা বেড়ে ১৪০-১৬০ টাকায় পৌঁছেছে।
- আলুর দাম: আলুও এখন ৪৫-৫০ টাকার জায়গায় ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
- সবজির দাম: সব ধরনের সবজি, যেমন শিম, করলা, মুলা, বেগুন ইত্যাদির দাম প্রতি কেজিতে ৩০-৫০ টাকা বেশি বেড়েছে।
মূল্যবৃদ্ধির কারণ
বাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন, এ ধরনের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কয়েকটি মূল কারণ রয়েছে।
আমদানি নির্ভরতা: দেশের চাহিদা মেটাতে আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির ফলে দেশেও এর প্রভাব পড়ছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ: সাম্প্রতিক বন্যা ও অস্বাভাবিক আবহাওয়ার কারণে ফসল উৎপাদনে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। ফলে সরবরাহ কমে গেছে এবং দাম বেড়ে গেছে।
পরিবহন খরচ বৃদ্ধি: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ফলে পরিবহন খরচও বেড়েছে। এই খরচ সরাসরি পণ্যের দামে যুক্ত হচ্ছে।
মজুতদারি ও সিন্ডিকেট: ব্যবসায়ী মহলে কিছু অসাধু চক্র কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে।