বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে, কারণ এখনও বহু মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে এবং পর্যাপ্ত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি
বাংলাদেশে বছরের শেষ দিকে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অস্বাভাবিক আবহাওয়া এই রোগের প্রকোপ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। ডেঙ্গু বাহিত এডিস মশার প্রজনন মৌসুম বাড়ায় রোগের বিস্তার আরও তীব্র হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
চলতি বছরের ডেঙ্গু পরিস্থিতি ইতোমধ্যেই উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর চাপ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে যদি যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া হয়।
পূর্বাভাসের কারণ:
- আবহাওয়ার পরিবর্তন: শীতের শুরু হলেও বৃষ্টিপাত এবং উচ্চ তাপমাত্রা এডিস মশার প্রজননের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করেছে।
- মশার বংশবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের ঘাটতি: শহর এলাকায় জমে থাকা পানিতে মশার লার্ভা বাড়ছে, যা ডেঙ্গু সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
- মানুষের অসচেতনতা: ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যক্তিগত ও সামাজিক সচেতনতার অভাব পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে।
প্রতিরোধে করণীয়:
- জমে থাকা পানি সরিয়ে ফেলা: বাড়ির আশপাশে জমে থাকা পানিতে এডিস মশা জন্মায়। তাই পানির পাত্র, টব, এবং ড্রেনে জমে থাকা পানি নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
- মশার নিধন কার্যক্রম: সিটি করপোরেশন এবং স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে মশা নিধনের জন্য কীটনাশক ছিটানো কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।
- ব্যক্তিগত সচেতনতা: ফুলহাতা পোশাক পরা, মশারি ব্যবহার, এবং মশার কামড় থেকে বাঁচতে রেপেলেন্ট ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি।
সরকার এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। তবে, সাধারণ জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এই রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। বছরের শেষ দিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ এড়াতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সচেতনতা এবং প্রতিরোধই পারে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে।