পিএসসি প্রস্তাব করেছে যে চাকরিপ্রার্থীরা তাদের নির্ধারিত বয়সসীমার মধ্যে যতবার ইচ্ছা বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেন। এটি যদি পাশ হয়, তবে চাকরিপ্রত্যাশীরা আরও সুযোগ পাবেন, যা পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী ৩ বা ৪ বারেই সীমাবদ্ধ ছিল
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য একটি যুগান্তকারী প্রস্তাব এনেছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে চেষ্টার সংখ্যা সীমাবদ্ধ না রেখে পরীক্ষার্থীদের অসীম সংখ্যক বার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বর্তমানে পরীক্ষার্থীরা ২১ থেকে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত সর্বোচ্চ তিনবার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন। তবে এই নতুন প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে, বয়সসীমার মধ্যে থাকা অবস্থায় যতবার ইচ্ছা পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যাবে।
পিএসসি এই প্রস্তাবের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক নিয়োগ পরীক্ষায় আরও সমান সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়েছে। বিশেষ করে যারা এক বা দুইবারের চেষ্টায় সফল হতে পারেন না, তাদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ হতে পারে। অনেক সময় শিক্ষাজীবনের ব্যস্ততা, চাকরির প্রস্তুতির অভাব, বা অন্যান্য পারিবারিক এবং সামাজিক কারণ পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার জন্য সঠিকভাবে প্রস্তুত হতে বাধা দেয়। অসীম চেষ্টার সুযোগ তাদের জন্য একটি দ্বিতীয় সুযোগ সৃষ্টি করবে।
তবে এই প্রস্তাব নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, এতে পরীক্ষার মান নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়তে পারে। পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা বেড়ে গেলে পিএসসির প্রশাসনিক চাপ এবং ফলপ্রকাশের সময় বৃদ্ধি পেতে পারে। আবার, দীর্ঘমেয়াদী পরীক্ষার প্রস্তুতি তরুণদের চাকরির বাজারে প্রবেশে বিলম্ব ঘটাতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কিছু বিশেষজ্ঞ।
অন্যদিকে, সমর্থকরা বলছেন, এটি তরুণদের জন্য একটি উদার এবং মানবিক পদক্ষেপ। প্রতিযোগিতায় সফল হতে সময় এবং সুযোগ দুটিই গুরুত্বপূর্ণ। চেষ্টার সংখ্যা সীমিত থাকলে অনেক মেধাবী পরীক্ষার্থী তাদের স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ হতে পারেন।
এখন পর্যন্ত এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়টি আলোচনাধীন রয়েছে। সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে এটি কার্যকর হলে, বিসিএস পরীক্ষার নীতিমালায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। পরীক্ষার্থীরা এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে সঠিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন।