ত্রিপুরায় বাংলাদেশি সহকারী হাই কমিশনে হামলার ঘটনায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ৭ জনকে গ্রেপ্তার এবং ৩ জন পুলিশকে দায়িত্বে অবহেলার জন্য বরখাস্ত করেছে
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে অবস্থিত বাংলাদেশের কনস্যুলেটে হামলার ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কনস্যুলেট ভবনে অজ্ঞাত হামলাকারীরা এ হামলা চালায়, যার ফলে কনস্যুলেটের কিছু অংশে ক্ষতি হয়। এই হামলার পেছনে কোন রাজনৈতিক বা সামাজিক কারণ আছে কিনা, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।
হামলার ঘটনা:
নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশি কনস্যুলেটে হামলার সময় বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি কনস্যুলেটের কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতি করেন। এতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যাহত হয় এবং কয়েকজন কনস্যুলেট কর্মী আহত হন। হামলার সময় ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল, কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে হামলাকারীদের ধরতে সক্ষম হয়নি।
গ্রেপ্তার ও বরখাস্ত:
হামলার পর পুলিশ সাতজন সন্দেহভাজন হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা সৃষ্টির এবং সরকারি সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ বিভাগের তিন সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে, যারা হামলার সময় যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হন।
বাংলাদেশের সরকারের প্রতিক্রিয়া:
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এই হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে এবং হামলাকারীদের শাস্তির দাবি করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এ ধরনের অস্থিতিশীলতা দেশের মর্যাদা ক্ষুন্ন করার জন্য দুর্ভাগ্যজনক।
বিরোধী দল ও কূটনীতিকদের প্রতিক্রিয়া:
এই হামলা দেশের বাইরে বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রতিনিধিত্বের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। কূটনীতিকরা দাবি করেছেন, বাংলাদেশি কনস্যুলেটের নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করতে হবে।
এই হামলার ঘটনা বাংলাদেশের কূটনীতিকদের জন্য একটি সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করবে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।